আমুদরিয়া নিউজ : আম্বেডকর ইস্যু নিয়ে সংসদে হই-হট্টগোল চলছিলই। বৃহস্পতিবার সংসদে চত্বরে ঢোকার মুখে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় বিজেপির সাংসদদের। তখনই পড়ে গিয়ে একজন বিজেপি সাংসদের কপালের কাছে চোট লেগে অল্প রক্ত ঝরে। তা নিয়ে তুলকালাম চাপানউতর হয় দু-তরফে।
ওই ঘটনার পরে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল জানান, ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাতেও থাকতে পারে। তিনি জানান, তিনি সংসদের গেট দিয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তখন বিজেপি সাংসদরা তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ মল্লিকার্জুন খার্গকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ তিনি বলেন, কিন্তু আমরা ধাক্কাধাক্কিতে ভয় পাই না। তবে এটি সংসদের গেট। আমাদের ভিতরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিজেপি সাংসদরা আমাদের ভিতরে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন… তারা সংবিধানকে আক্রমণ করছেন এবং আম্বেদকরজির স্মৃতিকে অপমান করছেন। এদিন আম্বেদকরের সম্মানে নীল রংয়ের পোশাক পরে সংসদে যান রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
বিজেপির অভিযোগ, রাহুল গান্ধী ফারুখাবাদের সাংসদ মুকেশ রাজপুতকে ধাক্কা মারেন। তিনি পড়ে যান প্রতাপ সারেঙ্গীর উপর। মুকেশও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। অর্থাৎ রাহুলের ধাক্কায় দুই বিজেপি সাংসদ আহত হন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য অভিযোগ করেছেন, গান্ধীদের উদ্ধত আচরণ ফের সামনে চলে এল। বিজেপির চন্দ্র প্রতাপ বলেন, রাহুল গান্ধী এসে এক সাংসদকে ঠেলে দিলেন। সেই সাংসদ তখন আমার ওপরে এসে পড়েন। এর পরে আমি পড়ে যাই। আমি তখন সিঁড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেন, অভি এক ফ্যাশন হো গয়া হ্যায় – আম্বেডকর, আম্বেডকর, আম্বেডকর, আম্বেডকর, আম্বেডকর, আম্বেডকর। ইতনা নাম আগর ভগবান কা লেতে তো সাত জনম তক স্বর্গ মিল জাতা। অর্থাৎ – এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার আম্বেডকরের নাম নেওয়া। আর অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার সংসদ চত্বরের সামনে আম্বেডকরের ছবি নিয়ে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস সাংসদরা। বৃহস্পতিবারও তা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা।