আমুদরিয়া নিউজ : মঙ্গলবার রাতে পাথর বোঝাই একটি ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন এক দিন মজুর মহিলা। চালক ডাম্পার রেখে পালিয়ে গেলে গ্রামবাসীরা ডাম্পারে ভাংচুর চালাতে শুরু করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তখন পুলিশকে ঘিরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনা আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা বারোবিশা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়াইমহল গ্রামে। জানা গেছে মঙ্গলবার রাতে দিন মজুর মহিলা ঝর্না দাস সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পাথর বোঝাই একটি ডাম্পারের ধাক্কায় ঝর্না দাস রাস্তায় ছিটকে পড়েন ও ডাম্পারটি তার এক হাতের উপর দিয়ে চলে যায়। ভদ্রমহিলার হাতটি থেতলে যায়। তাকে সাথে সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলাকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। ঘটনা টের পেয়ে ডাম্পার চালক ডাম্পার রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ডাম্পারে ভাংচুর চালাতে শুরু করলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কামাখ্যাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ও কুমারগ্রাম থানার আই সি।
পুলিশকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষেপে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাদের অভিযোগ পুলিশ ডাম্পার চলাচল বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। এর আগেও ডাম্পার চলাচল নিয়ে বাসিন্দাদের সাথে ডাম্পার পরিচালক ও পাথরের ব্যবসায়ীদের গন্ডগোল হয়। গ্রামবাসীরা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে নির্দেশ জারি করেন গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলবেনা। সেই নির্দেশকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে চড়াইমহলের ভিতর দিয়ে পাথর বোঝাই ডাম্পার চলছে।সঙ্কোশ নদী থেকে পাথর ডাম্পারে বোঝাই করে চড়াই মহল গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে ডাম্পার চালাচ্ছেন এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী। পুলিশ গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা শুরু করে কিন্তু গ্রামবাসীরা তাদের দাবিতে অটল, তাদের দাবি গ্রামের ভিতর দিয়ে ডাম্পার চলাচল বন্ধ করতে হবে। পুলিশ জানায় তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন।
সুকুমার রঞ্জন সরকার, কুমারগ্রাম